GST তে Reverse Charge Mechanism কি আর কেন ব্যবহার হয়
GST-র RCM: ট্যাক্সগুলো আপনাকেই দিতে হবে!
শুরুতেই সোজা কথায়…
সাধারণত তো যখন আপনি কিছু কিনেন, বিক্রেতা আপনার কাছ থেকে মূল্যের সাথে জিএসটি নেয় এবং সেই ট্যাক্স সরকারকে দেয়। আপনি শুধু বিল মিটিয়ে দেন। সহজ, তাই না?
কিন্তু, জিএসটি-তে এমন কিছু কেস আছে, যেখানে পুরো খেলা উল্টে যায়। সেখানে বিক্রেতা আপনাকে কোনো জিএসটি চার্জ করবে না। সে শুধু তার পরিষেবার মূল্য নেবে। আর সেই পরিষেবার ওপর যত জিএসটি হবে, সেই টাকা আপনি হিসাব করে সরাসরি সরকারকে জমা দেবেন।
এটাই হলো রিভার্স চার্জ। নামেই সব আছে – রিভার্স (Reverse) মানে উল্টো, চার্জ মানে ট্যাক্স দেওয়ার দায়িত্ব। অর্থাৎ, বিক্রেতার না, ক্রেতার (আপনার) ঘাড়ে ট্যাক্স দেওয়ার দায়িত্ব চাপানো।
সাধারণত, কোনো পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করার সময় বিক্রেতা জিএসটি ধার্য করেন এবং সরকারকে সেই কর পরিশোধ করেন। ক্রেতা শুধু বিক্রেতার কাছ থেকে মূল্য এবং জিএসটি মিলিয়ে মোট টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু, রিভার্স চার্জ মেকানিজম (RCM) এই নিয়মকে উল্টে দেয়। এখানে, কর পরিশোধের দায়িত্ব বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতার উপর বর্তায়। অর্থাৎ, ক্রেতা নিজেই জিএসটি হিসাব করে সরাসরি সরকারের কাছে জমা দেন।
চলুন, বুঝিয়ে বলি কেন এই ঝামেলা।
কেন এই নিয়ম? সরকার কি ঝামেলা পছন্দ করে?
একদম না! সরকারের নিজেরও কাজ সহজ করার জন্য এই নিয়ম।
আপনার কোম্পানি মাল পাঠানোর জন্য একজন ছোট ট্রাক মালিকের সার্ভিস নিলেন। বা আপনি একজন কৃষকের কাছ থেকে কাঁচা পণ্য কিনলেন। এই ছোট ট্রাক মালিক বা কৃষক অনেক সময় জিএসটি-র জালে থাকেন না, তাদের রেজিস্ট্রেশন নেই। সরকারের কাছে হাজার হাজার ছোট ছোট ট্রাক মালিক বা কৃষকের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করা খুব মুশকিল।
তাই সরকারের কথা, “চলুন সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করি। যারা বড় বড় কোম্পানি, যারা এই সার্ভিস নিচ্ছে, তারাই এই ট্যাক্স আমাদের দেবে। ওরা তো নিয়মিত আমাদের কাছে রিটার্ন ফাইল করে, ওদের থেকে ট্যাক্স নেওয়া অনেক সহজ।”
তাহলে মূল কথা: RCM হলো অসংগঠিত খাতের ট্যাক্স আদায় করার একটা কৌশল।
RCM-এর মূল উদ্দেশ্য হলো কর সংগ্রহের কার্যকারিতা বাড়ানো এবং অসংগঠিত খাতকে করের আওতায় আনা।
অসংগঠিত খাতের ট্যাক্স কালেকশন: অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহকারী ছোট বা অসংগঠিত হয় (যেমন- পরিবহন সংস্থা, কৃষক, ছোট আইনজীবী)। তাদের কাছ থেকে কর আদায় করা কঠিন। তাই বড় এবং নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান (ক্রেতা) যারা এই পরিষেবা নেয়, তাদের উপর কর পরিশোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে কর আদায় সহজ হয় এবং ফাঁকি রোধ করা যায়।
স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ: ক্রেতা যেহেতু কর পরিশোধ করছে, সে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট (ITC) দাবি করার জন্য সঠিকভাবে ট্যাক্স জমা দিতে আগ্রহী থাকে। এতে পুরো চেইনে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
রিভার্স চার্জ মেকানিজম প্রয়োগের মূল চৰ্ত হচ্ছে –
- Buyer/ ক্রেটা GST রেজিস্টার্ড
- পণ্য/ পরিষেবা RCM এর অন্তর্ভুক্ত
এই দুটো চৰ্ত পূরণ না হলে RCM প্রয়োগ হয় না ।
উদাহরণ 1: আপনি সাধারণ গ্রাহক যার GST নেই । আপনি বিক্রেতা থেকে RCM নথিভুক্ত সামগ্রী কিনেছেন, বিক্রেতা GST রেজিস্টার্ড। এক্ষেত্রে বিক্রেতা সাধারণ GST নেবে । এখানে RCM প্রযোজ্য নয় কারণ গ্রাহকের GST রেজিস্ট্রেশন নেই,
উদাহরণ 2: আপনি সাধারণ গ্রাহক, GST রেজিস্ট্রেশন নেই । বিক্রেতারও GST রেজিস্ট্রেশন নেই ।এখানেও RCM প্রয়োগ হবে না কারণ বিক্রেতার GST রেজিস্ট্রেশন নেই। বিক্রয় সামগ্রী RCM তালিকার অন্তর্ভুক্ত হোক বা না হোক!!
উদাহরণ 3: আপনি গ্রাহক ও ব্যবসায়ী । আপনার GST রেজিস্ট্রেশন আছে । এক্ষেত্রে RCM প্রযোজ্য হবে তখন, যখন বিক্রয় সামগ্রী RCM তালিকাভুক্ত হবে, বিক্রেতা GST রেজিস্টার্ড হতেও পারে, নাও হতে পারে ।
কোন কোন ক্ষেত্রে এই নিয়ম?
এই তালিকাটা বেশ লম্বা, তাই ভালো করে চেক করুন আপনার ব্যবসায় এর মধ্যে পড়ছে কিনা।
- পরিবহন সার্ভিস: যদি আপনি কোনো গুডস ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি (GTA) থেকে ট্রাক বা গাড়ি ভাড়া করেন, তাহলে আপনাকেই RCM-এর আওতায় ট্যাক্স দিতে হবে। (শর্ত: আপনি যেন জিএসটি-তে রেজিস্টার্ড হন)।
- আইনজীবী বা অ্যাকাউন্ট্যান্টের ফি: কোনো আইনজীবী, CA বা CS-এর পরামর্শ নিলে, তাদের ফি-এর ওপর ট্যাক্স আপনিই দেবেন।
- স্পনসরশিপ: কোনো ইভেন্ট বা খেলার স্পনসর করলে সেই টাকার ওপর RCM প্রযোজ্য।
- সরকারি সত্তা থেকে সার্ভিস: যদি আপনি কোনো সরকারি বিভাগ বা স্থানীয় পুরসভা থেকে কোনো সার্ভিস নেন, তাহলেও RCM লাগবে।
- কিছু পণ্য: কৃষকের কাছ থেকে কাঁচা তামাক পাতা, কিছু ধরনের স্ক্র্যাপ (যেমন- অ্যালুমিনিয়াম স্ক্র্যাপ) কিনলেও RCM প্রযোজ্য।
RCM তালিকাভুক্ত কয়েকটা সামগ্রী –
- কাঁচা তুলা (Raw Cotton)
- কাঁচা কাজু বাদাম (Cashew Nuts – Unshelled)
- তেন্ডুপাতা (Tendu Leaves)
- তামাক পাতা (Tobacco Leaves)
- সিল্ক কোকুন (রেশম পোকা থেকে পাওয়া cocoon)
- ইত্যাদি….
সরকার এই সামগ্রীগুলো RCM লিস্টে রাখছে কারণ – এগুলো সাধারণত ছোট কৃষক বা ছোট অসংগঠিত supplier থেকে আসে । এই seller গুলো বেশিরভাগ সময়ই GST রেজিস্টার্ড হয় না । আর এদের থেকে যদি কোন বড় ব্যবসায়ী কাঁচা সামগ্রী কেনে তাহলে সরকার Forward Charge Tax বা নর্মাল GST হারায় ।
RCM তালিকাভুক্ত কয়েকটা পরিষেবা –
- পণ্য পরিবহন এজেন্সি (GTA – Goods Transport Agency) পরিষেবা
- আইনজীবী পরিষেবা (Legal Services)
- স্পনসরশিপ পরিষেবা (Sponsorship Services)
- পরিচালক পরিষেবা (Director’s Services)
- নিরাপত্তা পরিষেবা (Security Services)
- আমদানি পরিষেবা (Import of Services)
- ক্যাব/রেডিও ট্যাক্সি পরিষেবা (Radio Taxi)
- Aggregator প্ল্যাটফর্ম (যেমন Ola/Uber)
পণ্য বা সামগ্রী যে কারণে RCM লিস্টে থাকে, ঠিক একই কারণে পরিষেবাও থাকে । এই ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগই ছোট বা অসংগঠিত পরিষেবা প্রদানকারী আর সরকার এই পরিষেবা গুলোর জন্য tax/ কর আদায়ের চেষ্টা করে, বিশেষত যদি ক্রেটা বড় ব্যবসায়ী বা GST রেজিস্টার্ড হয় ।
কিছু কিছু পরিষেবায় আবার tax/ কর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতাও দেখা যায়, যেমন পরিচালকের পরিষেবা । সরকার এটাও বন্ধ করার চেষ্টা করে ।
বিষয়টা কিছু জটিল আর ছোট ব্যবসায়ীর কাছে এটা অতিরিক্ত বোঝা মনে হতে পারে কিন্তু আসলে তা নয় । একটু চেষ্টা করে ব্যাপারটা বুঝে নিলে পরবর্তীকালে এটা সহজেই মনে হবে ।
চলুন, দেখি কীভাবে করতে হয়! (স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইড)
ব্যাপারটা সোজা – মাত্রা কয়েকটা ধাপ মনে রাখতে হয় –
ধাপ ১: সনাক্ত করুন: প্রথমে বুঝতে হবে আপনার কেনা জিনিস বা সার্ভিসটা RCM-এর আওতায় পড়ছে কিনা।
ধাপ ২: ইনভয়েস চেক করুন:
- যদি বিক্রেতা জিএসটি-তে রেজিস্টার্ড হয়, তাহলে সে আপনাকে একটা বিল দেবে, যেখানে লেখা থাকবে “Tax is payable on reverse charge basis”।
- যদি বিক্রেতা রেজিস্টার্ড না হয়, যেমন ধরো একজন কৃষক, তাহলে আপনাকেই একটা “সেলফ-ইনভয়েস” বানাতে হবে। এটা মোটামুটি নিজের মতো একটা বিল তৈরি করা, যেখানে আপনার এবং বিক্রেতার সব তথ্য থাকবে।
ধাপ ৩: ট্যাক্স হিসাব করুন: ইনভয়েস মোতাবেক কত জিএসটি (CGST+SGST বা IGST) হবে, সেটা বের করুন।
ধাপ ৪: সরকারকে টাকা দিন: এবার সেই হিসাব করা ট্যাক্স সরাসরি সরকারকে দিতে হবে। আপনি জিএসটি পোর্টালে গিয়ে RCM-03 চালান দিয়ে অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারেন। মনে রাখবেন, পরের মাসের 20 তারিখের মধ্যে এই টাকা জমা দেওয়ার শেষ সময়।
ধাপ ৫: টাকা ফেরত নিন (ITC ক্লেইম করুন): ভালো খবর হলো, যে ট্যাক্স আপনি দিলেন, সেটা আপনি ফেরত নিতে পারেন। একে বলে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট (ITC)। যখন আপনি আপনার নিজের পণ্য বিক্রি করে জিএসটি দেবেন, তখন এই RCM-এর টাকাটা আপনি সেখান থেকে কেটে নিতে পারেন। কিন্তু একটা শর্ত আছে: ট্যাক্স আগে দিতে হবে, তারপর ITC ক্লেইম করতে পারবেন।
ভালো-মন্দ দুটোই আছে (Pros and Cons)
| ভালো দিক (আপনার জন্য নয়, সিস্টেমের জন্য) | খারাপ দিক (আপনার জন্য মাথা ব্যথ্যা) |
|---|---|
| সরকারের টাকা ঠিকমতো ঢোকে: ট্যাক্স ফাঁকি কমে। | আপনার কাজ বাড়ে: হিসাব-নিকাশ, টাকা জমা দেওয়া – সব আপনাকেই করতে হবে। |
| সব কিছু স্বচ্ছ হয়: কারণ আপনি ITC নেওয়ার জন্য ঠিকমতো ট্যাক্স দেবেনই। | টাকা আটকে থাকে: বিক্রেতাকে দেওয়ার পরেও সরকারকে আলাদা টাকা রাখতে হয়। এতে ক্যাশ ফ্লো-এ সমস্যা হয়। |
| নিয়ন্ত্রণ সহজ: সরকারের কম সংখ্যক বড় কোম্পানির উপর নজর দেওয়া সহজ। | ঝামেলা হলে জরিমানা: ভুল হলে বা দেরি করলে সুদ ও জরিমানা দিতে হবে। |
বাস্তবিক উদাহরণ দেখি
ধরুন, আপনার ফ্যাক্টরির মাল পাঠাতে একটা ট্রাক্স কোম্পানিকে 10,000 টাকা দিলেন। এখানে 5% জিএসটি লাগে এবং এটা RCM-এর আওতায় পড়ে।
- ট্রাক্স কোম্পানি আপনাকে শুধু 10,000 টাকার বিল দেবে, জিএসটি ছাড়া।
- আপনি বের করবেন 5% ট্যাক্স, মানে 500 টাকা।
- এই 500 টাকা আপনি পরের মাসের 20 তারিখের মধ্যে সরকারকে জমা দেবেন।
- যখন আপনি আপনার মাসের GSTR-3B রিটার্ন ফাইল করবেন, তখন এই 500 টাকাকে আপনি ITC হিসেবে ক্লেইম করতে পারবেন।
যেসব সমস্যা আপনার সামনে আসতে পারে
- ক্যাশ ফ্লো সমস্যা: এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। আপনাকে বিক্রেতাকে পেমেন্ট করার পরেও সরকারকে জিএসটি দেওয়ার জন্য আলাদা টাকা রাখতে হয়। এতে আপনার কাজের টাকা (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) আটকে যায়।
- জটিলতা: কোন ক্ষেত্রে RCM লাগবে, কোন ক্ষেত্রে লাগবে না, এটা বোঝা মাঝে মাঝে ঝামেলার। ভুল হলেই পেনাল্টি।
- রেকর্ড-রক্ষণ: সব কাগজপত্র, যেমন সেলফ-ইনভয়েস, পেমেন্টের রশিদ – সব আগলে রাখতে হবে। অডিটের সময় এগুলো দেখাতে না পারলেই বিপদ।
ব্যবসায়ের জন্য চ্যালেঞ্জ
ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ব্লকেজ: এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আপনাকে সরবরাহকারীকে পেমেন্ট করার পরেও সরকারকে জিএসটি দেওয়ার জন্য আলাদা টাকা রাখতে হয়। এতে কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো-এর ওপর চাপ পড়ে।
সঠিক সনাক্তকরণ: RCM-এর তালিকা দীর্ঘ এবং সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। ভুলক্রমে কোনো পরিষেবাকে RCM-এর আওতায় না ধরলে বা ভুলভাবে ধরলে সমস্যা হয়।
রেকর্ড-রক্ষণ: সেলফ-ইনভয়েস, RCM পেমেন্টের রশিদ এবং ITC দাবির সমস্ত নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। অডিটের সময় এগুলো দেখাতে না পারলে সমস্যা হতে পারে।
ITC রিভার্সাল: যদি আপনি RCM কর সময়মতো পরিশোধ না করেন, তবে আপনাকে যে ITC দাবি করেছেন তা ফেরত দিতে হবে এবং তার ওপর সুদও দিতে হবে।
কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQs)
প্রশ্ন: আমি যদি কম্পোজিশন স্কিমে থাকি? উত্তর: তাহলেও আপনাকে RCM ট্যাক্স দিতে হবে, কিন্তু ITC পাবেন না।
প্রশ্ন: যদি বিক্রেতা জিএসটি রেজিস্টার্ড না হয়? উত্তর: তাহলে আপনাকেই সেলফ-ইনভয়েস বানিয়ে ট্যাক্স জমা দিতে হবে, যেমনটা উপরে বললাম।
প্রশ্ন: ট্যাক্স দেওয়ার আগেই ITC ক্লেইম করা যাবে? উত্তর: একদম না। প্রথমে ট্যাক্স পরিশোধ করতেই হবে, তারপর ক্লেইম করতে পারবেন।
আরও জানতে চাইলে ?
যদি নিজে থেকে খোঁজখবর নিতে চান, তাহলে এই সাইটগুলো দেখতে পারেন:
- অফিসিয়াল জিএসটি পোর্টাল: www.gst.gov.in
- CBIC ওয়েবসাইট: https://www.cbic.gov.in/
শেষ কথা
RCM একটা নিয়ম, আর নিয়ম মানলেই মুশকিল নেই। হয়তো আপনার কাজ কিছুটা বাড়বে এবং ক্যাশ ফ্লো-এর উপর চাপ পড়বে, কিন্তু সতর্ক থাকলে সব ঠিক থাকবে।
আপনার ব্যবসা যেন সব রকম ঝামেলা এড়িয়ে মসৃণভাবে চলে, সেই কামনা রইলো। আর কোনো সমস্যা হলে একজন ভালো অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাহায্য নিতে ভুলবেন না ।
মতামত দিন